Type to search

আন্তর্জাতিক

সালমান রুশদি বেঁচে যাওয়ায় ‘বিস্মিত’ হামলাকারী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি ছুরিকাঘাতের শিকার হন। সে সময় হামলার অভিযোগে দেশটির পুলিশ হাদি মাতারকে (২৪) আটক করে। বর্তমানে এই হামলাকারী জেলে আছেন।  সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’কে।

হাদি মাতার জানান, সালমান রুশদির বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ মাত্র পৃষ্ঠা দু’য়েক পড়েছেন। এছাড়া হামলা চালানোর পর রুশদির বেঁচে যাওয়ায় বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে রুশদির সমালোচনা করে হাদি মাতার বলেছেন, “তিনি এমন একজন মানুষ যিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন।”

স্যাটানিক ভার্সেস পড়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাদি বলেছেন, আমি বইটির কয়েক পাতা পড়েছি। আমি তাকে একদম পছন্দ করি না। আমার মতে, তিনি ভালো মানুষ নন। তিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।

নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার স্যার সালমান রুশদী গত পাঁচ দশক ধরে তার সাহিত্য কর্মের জন্যই বারবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন। তার অনেক উপন্যাসই ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলো যার মধ্যে আছে ১৯৮১ সালে বুকার পুরষ্কার জেতা তার দ্বিতীয় উপন্যাস মিডনাইট চিলড্রেন।

313cd888-5bcc-4f38-9a15-a3becb29925bতবে ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হওয়া তার চতুর্থ বই স্যাটানিক ভার্সেস হলো তার সবচেয়ে বিতর্কিত কাজ যা তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজিরবিহীন বিপদে ফেলে দেয়। বইটি প্রকাশের পর তাকে হত্যার হুমকি আসে যা তাকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করে। ব্রিটিশ সরকার তখন তাকে পুলিশী নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ১৯৮৯ সালে রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ডাক দিয়ে ফতোয়া জারি করেন। হাদি মাতার খামেনির ওই ফতোয়ায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারে সাক্ষাৎকারে কিছু বলেননি।

তবে হাদি খামেনির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমি আয়াতুল্লাহকে সম্মান করি। আমি মনে করি তিনি একজন মহান ব্যক্তি। বিবিসি

এবিসিবি/এমআই

Translate »