যৌন নির্যাতন মামলার আপিলে হারলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
শপথ নেওয়ার আগেই নতুন আইনি জটিলতার মুখোমুখি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যৌন নির্যাতন ও মানহানির মামলায় করা আপিলে হেরে গেছেন তিনি। মামলার আপিল শুনানিতে ম্যানহাটানের ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগের রায় বহাল রেখেছেন। খবর আলজাজিরার।
গত বছরের মে মাসে আদালতের রায়ে কলামিস্ট এলিজাবেথ জেন ক্যারলের দায়ের করা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে সেই রায়ে এটি ধর্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। আদালত যৌন নির্যাতনের জন্য ট্রাম্পকে প্রায় ২০ লাখ ডলার এবং মানহানির জন্য ২৯ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।
এরপর ট্রাম্প পুনর্বিচারের আবেদন করেন, যা আদালত নাকচ করে দেন। সর্বশেষ আপিল শুনানিতে আদালত জানান, মামলার প্রমাণ ও সাক্ষ্য যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে যৌন নির্যাতন করেন। তখন তিনি এক বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন, এবং পূর্বপরিচিত ট্রাম্প তাকে উপহার পছন্দ করতে সহায়তা করছিলেন। এছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও আনেন তিনি।
আপিল আদালতের রায়ের পর ক্যারলের আইনজীবী রবার্টা কাপলান এক বিবৃতিতে জানান, তারা এই রায়ে সন্তুষ্ট এবং আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।
পৃথক আরেকটি মানহানির মামলায় ২০১৯ সালে আদালত ট্রাম্পকে ৮৩ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। ট্রাম্প সেই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন।
ট্রাম্প বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি দাবি করেন, ক্যারলের সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি এবং এই অভিযোগগুলো সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য সাজানো নাটক।
আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তবে তার দায়িত্ব গ্রহণের পরও এই মামলা চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক ও বর্তমান সময়ের নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে, এই মামলার রায় ট্রাম্পের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
-আলজাজিরা