ভারতে সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে নিহত ১২১
এই স্বঘোষিত বাবার আসল নাম সূরয পাল। তিনি সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা নামেও পরিচিত। তার আশ্রম মৈনপুরীতে। তিনি ফুলওয়ারিতে এসেছিলেন সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের জন্য। সেই বাবার খোঁজে পুলিশ আশ্রমে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে পায়নি। তবে এফআইআরে আয়োজকদের নাম রয়েছে, বাবার নাম নেই।
দুর্ঘটনার কারণ
স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছে, ছোট জায়গায় এই অনুষ্ঠান ছিল। প্রচুর মানুষ সেখানে গিয়েছিলেন। যখন অনুষ্ঠানের পর তারা বেরোতে যান, তখনই এই ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলে বাবার গাড়ি যাতে আগে চলে যেতে পারে, সেজন্য ভক্তদের প্রথমে বের হতে দেওয়া হয়নি। সেই জায়গাতে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। পরে সেখানে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে অনেকে মারা যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্যান্ডেল করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল না। আবহাওয়া প্রচণ্ড আদ্র থাকায় উপস্থিত অনেকেই দ্রুত বেরোতে চাইছিলেন। কিন্তু বাইরে যাওয়ার গেট ছোট ছিল। ফলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে এতজন মারা গেলেন।
অনেকে বলেছেন, সোমবার রাত থেকে সৎসঙ্গ যেখানে ছিল, তার সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। শেষ হওয়ার পর রাস্তা খোলা হয়। ফলে সেখানে যানজট ও ভিড় ছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, ৮০ হাজার মানুষের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আর এসেছিলেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এতো মানুষ আসবেন তা উদ্যোক্তারা বলেন নি। তাই পুলিশি ব্যবস্থা ও ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে করা যায়নি।
শুধু হথরাস বা আশপাশের এলাকা বা জেলাগুলি থেকে নয়, প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ সেখানে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাত্র চল্লিশ জন পুলিশ ছিলেন সেখানে। যা এতোবড় জমায়েতের জন্য খুবই কম।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি কমিটি করেছেন। সেই কমিটিতে আছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি এবং দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরী ও সন্দীপ সিং।
কে এই ধর্মীয় গুরু?
সাকার নারায়ণ বাবা অতীতে অনেকবার তার ভক্তদের বলেছেন, তিনি আগে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতেন। পরে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
তিনি উত্তরপ্রদেশের এটার কৃষক পরিবারের সন্তান। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্থানীয় গোয়েন্দা শাখার হেড কনস্টেবল ছিলেন। ১৯৯৯ সালে চাকরি ছেড়ে দেন এবং আধ্যাত্মিক পথে চলতে শুরু করেন বলে তিনি দাবি করেছেন।সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভি
এবিসিবি/এমআই