দোষী সাব্যস্ত এলিজাবেথ হোমস, হতে পারে সর্বোচ্চ দণ্ড

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার মামলার বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত স্বাস্থ্য প্রযুক্তি কোম্পানি থেরানোসের প্রতিষ্ঠাতা এলিজাবেথ হোমস। ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে কয়েক মাস ধরে চলা বহুল আলোচিত বিচার শেষে জুরিরা এ রায় ঘোষণা করেছেন। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার ষড়যন্ত্র এবং ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রতারণার তিন ঘটনাসহ তার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগের সন্দেহাতীত প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এসব অপরাধের প্রতিটির জন্য হোমসের সর্বোচ্চ ২০ বছর করে সাজা হতে পারে। সেই হিসেবে তার সর্বোচ্চ ৮০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
‘রক্তের কয়েক ফোঁটা দিয়ে রোগ শনাক্ত করতে পারে’ এমন প্রযুক্তি নিয়ে হোমস ‘জেনেশুনে’ মিথ্যা বলেছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের অভিযোগ। তবে হোমস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেই আসছিলেন। রায় ঘোষণার পরও হোমসকে জেলহাজতে নেওয়া হয়নি। সাজা ঘোষণার দিন ঠিক হয়নি, পরের সপ্তাহে শুনানির দিন আছে। এলিজাবেথ হোমসের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে জনগণকে প্রতারণার চারটিতে তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হয়েছেন। বাকি তিনটির বিষয়ে জুরিরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। পরে চারটি অভিযোগ নিয়ে সর্বসম্মত রায় আসে।
সিলিকন ভ্যালির একসময়ের আলোচিত কোম্পানি থেরানোসের মূল্য একটা পর্যায়ে ৯০০ কোটি ডলার দাঁড়িয়েছিল। স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রা করেছিল কোম্পানিটি। কিন্তু এর প্রধান পণ্য রক্ত পরীক্ষার প্রযুক্তি অকার্যকর বলে ২০১৫ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রতিবেদন ছাপার পর গুমর ফাঁস হয়ে যায়। প্রায় চার মাস ধরে চলা এই বিচারে জুরিদের মধ্যে আট জন ছিলেন পুরুষ ও চার জন নারী। আত্মপক্ষ সমর্থনে থেরানোস পরিচালনায় ত্রুটির স্বীকার করলেও জেনেশুনে রোগী বা বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করেননি বলে অনড় ছিলেন হোমস।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির রসায়ন প্রকৌশল থেকে ঝরে পড়ার পর পরই কিশোরী হোমস থেরানোস প্রতিষ্ঠা করেন। মিডিয়া মুগল রুপার্ট মারডক ও টেক মুগল ল্যারি এলিসনের মতো কোটিপতিদের কাছ থেকে তিনি ৯০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেন। কেলেঙ্কারির পর ২০১৮ সালে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এবিসিবি/এমআই