ঢাকা সফরের পর মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগানের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ চীন

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগানের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান জানান’, দুর্ভাগ্যজনকভাবে চীন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে খুব সামান্য সহায়তাই করেছে।’ তার এই দাবি পুরোপুরি অসঙ্গত ও গঠনমূলক নয় বলে চীন উল্লেখ করেছে।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এটি সকলেরই প্রত্যাশা যে, স্টিফেন বিগানের এই সফর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের দিকে আলোকপাত করবে। তবে ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ত্যাগ করার পূর্বেই তিনি চীন-ভারত সীমান্তের দ্বন্দ্ব, তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা, দক্ষিণ চীন সাগরের সমস্যাসমূহ এবং হংকংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ টেনে চীনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা শুরু করেন, যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই৷
এতে আরও বলা হয়, এমন আচরণ কেবল কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মারাত্মক লঙ্ঘনই নয়, বরং যথেষ্ট অসম্মানের বাংলাদেশের জন্যও। তার (বিগান) এই সফরের আয়োজক বাংলাদেশ একটি শান্তি প্রিয় জাতি যারা বিশ্বাস করে- সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গেই বৈরিতা নয়। কূটনীতির পথ এটিই হওয়া উচিৎ।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ২০ অক্টোবর স্টিফেন বিগানের এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের বিষয় রোহিঙ্গা সংকটকে অবলম্বন করে চীনের সমালোচনা করা এবং নিজেদের পক্ষপাতিত্ব প্রচার করার একটি ধারাবাহিকতা মাত্র।
পোস্টে বলা হয়, যেহেতু আমাদের মধ্যেকার সমস্যা সমাধানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে প্রচুর দ্বিপাক্ষিক উপায় রয়েছে, তাই পূর্ব সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষকে টেনে আনা স্টিফেন বিগানের উচিত হয়নি। এখানে আমরা উভয় পক্ষই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের জন্য এসেছি। তাই পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে অপচয় করার মত যথেষ্ট সময় থাকা আমাদের উচিত নয়।