ট্রাম্পের মানহানি মামলায় এবিসি নিউজের ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং এবিসি নিউজের মধ্যে মানহানি মামলায় সমঝোতা হয়েছে, যা মার্কিন গণমাধ্যম ও রাজনীতির সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এবিসি নিউজের একজন জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপকের ভুল মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এই মামলা দায়ের করা হয়।
চলতি ২০২৪ সালের ১০ মার্চ, এবিসি নিউজের সঞ্চালক জর্জ স্টেফানোপলস একটি সাক্ষাৎকারে বারবার দাবি করেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প “ধর্ষণের জন্য দায়ী” বলে রায় দেওয়া হয়েছে। এটি ২০২৩ সালের একটি নাগরিক আদালতের রায়ের ভুল উপস্থাপনা। আসলে, আদালত ট্রাম্পকে “যৌন নির্যাতনের” জন্য দায়ী বলেছিল, যা আইনি সংজ্ঞায় ধর্ষণ নয়। এই ভুল তথ্য প্রচার করার কারণে ট্রাম্প এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
শনিবার(১৪ডিসেম্বর) ঘোষণা করা সমঝোতা অনুযায়ী, এবিসি নিউজ ১৫($) মিলিয়ন ডলার “প্রেসিডেন্সিয়াল ফাউন্ডেশন ও মিউজিয়ামে” দান করবে, যা ট্রাম্পের পক্ষে প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, তারা ১($) মিলিয়ন ডলার ট্রাম্পের আইনি খরচ মেটানোর জন্য প্রদান করবে। সমঝোতার অংশ হিসেবে, এবিসি নিউজ তাদের ওয়েবসাইটের ১০ মার্চের খবরের সঙ্গে একটি নোট যুক্ত করবে, যেখানে তারা ভুল তথ্য প্রচারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে।
এবিসি নিউজের সঞ্চালক স্টেফানোপলস সাক্ষাৎকারে প্রায় ১০ বার এই ভুল তথ্য প্রদান করেন, যা ট্রাম্পের মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, এবিসি নিউজ তাদের ভুলের দায় স্বীকার করেছে এবং দুঃখ প্রকাশ করেছে।২০২৩ সালে, নিউ ইয়র্কের একটি নাগরিক আদালত ট্রাম্পকে সাংবাদিক ই জিন ক্যারলকে যৌন নির্যাতন এবং মানহানির জন্য দায়ী ঘোষণা করে। তবে, আইনি সংজ্ঞার সীমারেখার কারণে তাকে ধর্ষণের জন্য দায়ী করা হয়নি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, এবিসি নিউজের ভুল তথ্য আরও বেশি বিতর্ক তৈরি করে।
এই মামলা গণমাধ্যমের দায়িত্ব এবং সংবাদ পরিবেশনের সঠিকতার ওপর আলোকপাত করেছে। এমন ভুল তথ্য জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং সংবাদমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। গণমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাই গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র : বিবিসি