Type to search

আন্তর্জাতিক

চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ

করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে চীন। সাধারণত চীনের বাজার থেকে সবচেয়ে বেশি পোশাক আমদানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের মতে, চীনের জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে দেশটিতে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ভালোমানের মান সম্মত পোশাক তৈরি করছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানির ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ।

যদিও এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারী স্থান ধরে রেখেছে চীন তবে মৌলিক এবং মূল্য সংযোজন করা পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশী পোশাকের পণ্যের অনুপ্রবেশ বাড়ছে।

গত বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসে ইইউতে বাংলাদেশি পোশাকের চালান ৪১.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা চীনের পরে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য ব্লকে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনে মূলত দক্ষ জনবলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক পোশাকের বাজারের অংশীদারিত্ব হারাচ্ছে দেশটি। এর ফলে চীন থেকে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভারত ও পাকিস্তানের মতো এশিয়ার অন্যান্য দেশ বেশি অর্ডার পাচ্ছে।

২০১৫ সালে, বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ছিল ৫.৯ শতাংশ এবং ২০২১ সালের দেশের পোশাক রপ্তানির তথ্যের ভিত্তিতে, শতাংশটি ৬.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) অনুসারে, ইইউতে বাংলাদেশের বাজার শেয়ার ২০২২ সালে ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৮.৫ শতাংশ।

স্থানীয় রপ্তানিকারকদের মতে, কাজের অর্ডার চীন থেকে বাংলাদেশে সরিয়ে নেওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক শুল্ক যুদ্ধ।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ইইউতে ডেনিম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য পণ্য বিভাগেও চীনকে ছাড়িয়ে যাব।

এবিসিবি/এমআই

Translate »