Type to search

আন্তর্জাতিক

কানাডার মসজিদে ‘ঘৃণাত্মক ঘটনা’ নিয়ে মুসলিম নেতার উদ্বেগ

অন্টারিওর মারখামের ইসলামিক সোসাইটির সভাপতি কাসির নাসির খান কানাডায় ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রোববার (৯ এপ্রিল) অন্টারিও প্রদেশের একটি মসজিদের সামনে এ ঘটনার পর তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার অন্টারিও প্রদেশের একটি মসজিদের সামনে এক ব্যক্তি মুসলমানদের হুমকি দেয়। ওই ব্যক্তি টরন্টো থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসলমানদের গাড়ি চাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।

নাসির খান জানান, মসজিদ পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি তিনি মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিভিন্ন বাজে কথা বলেন। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো, ওই ব্যক্তি মুসল্লিদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন। ইসলামোফোবিয়া তার কর্মকাণ্ডে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

বিষয়টি নিয়ে তিনি আরও জানান, কানাডার মুসলমানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। এছাড়া, কুইবেক সিটির ঘটনা বা লন্ডনে ট্রাকচাপায় পুরো মুসলিম পরিবারকে হত্যার ঘটনা দেখলেই মুসলিম সম্প্রদায়ের আতঙ্কের কারণ বোঝা যায়।

লন্ডনে ট্রাকচাপায় পুরো মুসলিম পরিবারকে হত্যার ঘটনা।লন্ডনে ট্রাকচাপায় পুরো মুসলিম পরিবারকে হত্যার ঘটনা।

২০১৭ সালে কানাডার কুইবেক সিটির একটি মসজিদে এক ব্যক্তি ৬ জন মুসলমানকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পর মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, ২০২০ সালে টরন্টোতে এক ব্যক্তি একটি ট্রাক দিয়ে এক মসজিদের নিরাপত্তা রক্ষীর পুরো পরিবারকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৪ জন মারা যান এবং গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে জানান, কানাডার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে এর মানবিক বৈচিত্র্য। তবে, অনেক মুসলমানই ইসলামোফোবিয়ার শিকার। এটি পরিবর্তন করা উচিত। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কাউকে ঘৃণার শিকার করা উচিত নয়। দেশটির বিরোধী দল নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিও সাম্প্রতিক এই ঘটনায় মুসলমানদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »