আমেরিকা ও ইইউ’র জন্য তুরস্কের ভ্রমণ সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশসমূহ তুরস্কের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করায় পাল্টা প্রতিশোধমূলক সতর্কতা জারি করেছে তুরস্ক সরকার। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ ভ্রমণ সতর্ক বার্তা ঘোষণা করেছে। বেরন্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সতর্ক বার্তায় ইউরোপের বিপদজনক মাত্রার ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণার কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি স্টকহোম ও কোপেনহেগেনে তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কট্টর ডানপন্থীদের পবিত্র কোরান পোড়ানোর ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ আঙ্কারা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বৃহৎ দেশসমূহ তাদের নাগরিককে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র ও গণজমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেয়ার বিষয়ে তুরস্কের বিরোধিতা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে।
পৃথক এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদ ও সম্প্রতি বিদেশীদের ওপর মৌখিক ও শারীরিক হামলার ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন দীর্ঘদিনের সামরিক নিরপেক্ষ অবস্থান ছেড়ে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আবেদন করে।
কিন্তু ন্যাটোতে যোগ দিতে ৩০ সদস্যের সকলের অনুমোদন লাগবে। তুরস্ক ও হাঙ্গেরি একমাত্র সদস্য যারা পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে এ দুইটি আবেদন
অনুমোদন করেনি। হাঙ্গেরি আগামী মাসে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশটির আগামী ১৪ মে এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ভিত্তিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।
এবিসিবি/এমআই