রাইসির সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। হোয়াইট হাউসের বরাতে এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এদিকে রাইসিও বাইডেনের সাথে বৈঠক না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
ইরানের ওপর থেকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে তিনি বাইডেনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- ‘না’। রাইসি ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করার জন্য আমেরিকার এবং নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে এবং ইউরোপীয়দেরকে ওয়াশিংটনের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে ইরানের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ব্যাপারে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জানান, ইরানকে ভয় না পেয়ে তেল আবিবের উচিত ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ সংগ্রামীদের ভয় করা। ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ইরানের নীতি হচ্ছে, সেখানকার মূল অধিবাসীদের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হবে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে উল্লেখ করে ইব্রাহিম রাইসি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রায় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা নিশ্চিত যে আল্লাহর উপর নির্ভর করে এবং ইরানের সামর্থ্য ও সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে বিশেষ করে যুবসমাজের মূল্যবান সমৃদ্ধিকে কাজে লাগানোর মধ্য দিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন আনা অসম্ভব নয়।