দেশে করোনাভাইরাসে কোভিড-১৯ গত ২৪ ঘন্টায় ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার ১৮৭ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২৫ জন ও নারী ৭৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত আট হাজার ৪৮৯ জন।
করোনা পজিটিভ শনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ১১ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিল এক দশমিক ৬১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৯১ জন, ৬৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী পাঁচ হাজার ৩৭৮ জন, ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, শনাক্ত বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং সুস্থতা বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৫ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন করে, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬১ জন সরকারি, ৪১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং দুই জন বাসায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ হাজার ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৪৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ১৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে শনাক্তের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৮২০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন আট হাজার ৫৩৬ জন। গতকালের চেয়ে ২৮৪ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন।
দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। পজিটিভ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। চেয়ে সুস্থতার হার দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।