কোভিড-১৯: ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া যারা বের হতে পারবে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় সারা দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া দরকার হবে তাদের জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’-এর ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
তবে গণমাধ্যম, ব্যাংক, শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস ও হাসপাতালে কাজ চলছে। খোলা রয়েছে জরুরি সেবা খাতগুলোও। এ কারণে অনেকেই জরুরি দরকারে বের হচ্ছেন। এই করোনা পরিস্থিতে কারা বাইরে বের হতে পারবেন, কারা পারবেন না, এ নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির ঘটনাও ঘটছে। এমন অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ, যারা জরুরি সেবার আওতায় পড়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ব্যক্তি কারা ও প্রতিষ্ঠান কোনগুলো সেটি জানিয়েছে। ১৮ শ্রেণীর মানুষের চলাচলে মুভমেন্ট পাস দরকার নেই। শুধু পরিচয়পত্র দেখালে আসা-যাওয়া করতে পারবেন কর্মস্থলে।
চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা রয়েছেন তারা হলেন:-
১. ডাক্তার
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সাথে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের অন্যান্য স্টাফ
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সাথে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এই সময়ে বাইরে বের হলেই মানুষকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা কার্যকর করা হয়েছে।