কোনো দোষ নেই, তারপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশের ভালো লোকের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একজন। কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী বোকা বানাচ্ছে তাকে। পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বললেও তার কথা রাখেননি তারা।
তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখানে কোনো দোষ নেই। তারপরও বলব এখনই পদত্যাগ করা উচিত তাকে। যদি তার কথা শুনতো তারা তাহলে হাজীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটত না। এ লাশগুলো পড়তো না। এটা সরকারের চরম ব্যর্থতা।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে জানান, ঘটনার রাতে পুলিশ ও সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ না করলে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী এর আগে হাজীগঞ্জ বাজারের গাউছিয়া হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় করেন। এতে হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি গাজী সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর প্রতিনিধি খালেকুজ্জামান শামীমের পরিচালনায় সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ঘটনার বিবরণ জেনে নেন। সাংবাদিকদের মাঝে ঘটনার বিবরণী তুলে ধরেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন আল আজাদ, কামরুজ্জামান টুটুল, মনিরুজ্জান বাবলু ও সাইফুল ইসলাম সিফাত।
মতবিনিময় শেষে হাজীগঞ্জ শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া, হাজীগঞ্জ সেবাশ্রম মন্দির পরিদর্শন শেষে ওই ঘটনায় নিহত ৪ জনের মধ্যে রান্ধুনীমুড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নিহত ইয়াছিন হোসেন হৃদয়ের বাড়িতে যান। সেখানে নিহতের বাবা মায়ের সাথে কথা বলে সান্ত্বনা দেন। পরে হৃদয়ের কবর জিয়ারত করেন।
ওই সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, শহীদ আসাদের ছোটভাই ডা. নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক হাসিবুদ্দিন হোসেন, রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এবিসিবি/এমআই