Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, আফগান জনগণকে অবশ্যই নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে হবে। একইসঙ্গে এটাও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রজন্মকে তিনি অঞ্চলটিতে যুদ্ধে পাঠাবেন না। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউজে বক্তব্যকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগান বাহিনীর তালেবানদের হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। এ সময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক গৃহযুদ্ধের সতর্কতাসহ আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাবুলের ওয়াশিংটন সমর্থিত সরকার পতনের পূর্বাভাসের যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেটিকে অস্বীকার করেন তিনি।

গত এপ্রিল মাসে জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে এখন জানিয়েছেন, ৩১ আগস্টের মধ্যেই সব সেনা সরানো হবে। তবে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস সুরক্ষার জন্য প্রায় ৬৫০ জনের মতো সেনা থেকে যাবে। কয়েক হাজার আফগান দোভাষীকেও নিরাপত্তার সহিত স্থানান্তরিত করা হবে।

আফগানিস্তান ত্যাগ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্যগুলো অর্জন করেছি। এ কারণেই চলে যাচ্ছি। তাছাড়া আমরা সেখানে জাতি গঠন করতে যাইনি। নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ এবং কীভাবে দেশ পরিচালনা করতে চায় সে ব্যাপারে আফগান জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক অধিকার রয়েছে।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ মার্কিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছেন। এদের মধ্যে ২৮ শতাংশ মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে। অন্যদিকে, ৪৩ শতাংশ মনে করেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার অঞ্চলটিতে আল কায়েদাকে পুনরায় গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

Translate »