মিয়ানমার সহিংসতা: একদিনে নিহত ৩৮
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে আরও অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় বিক্ষোভে সেনা-পুলিশের গুলিতে ২১ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছেন।
রবিবার (১৪ মার্চ) দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এ প্রাণহানি ঘটেছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া এলাকায় গতকাল রবিবার বিক্ষোভকারীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে লাঠি ও ছুরি হাতে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষ শুরু হলে নিরাপত্তাবাহিনী তাদের ওপর গুলি ছোড়ে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইয়াংগুনের হ্লাইংথায়া জেলার দরিদ্র এলাকাগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পুরো দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত এলাকাটি এদিন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।
হ্লাইংথায়া হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। গুরুত্বর আহত মানুষের এখনো হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এদিকে, জেলাটিতে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে বলে এমআরটিভ জানিয়েছে। তবে থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি জান্তা সরকারের পক্ষে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক বিতর্কিত সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। আটক করা হয় দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দলের অধিকাংশ নেতাকে। গোটা দেশজুড়ে আগামী এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
পরবর্তীতে জরুরি অবস্থা ভেঙে রাজপথে মিয়ানমারের সর্বস্তরের জনতা নেমে আসে। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে প্রায় ১০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষকে। এ ছাড়া পুলিশি হেফাজতে সু চির দলের আরও ২ নেতার মৃত্যু হয়েছে।