মির্জা আব্বাস, সৈয়দ ইফতেখার ও পাপুলের দুর্নীতির খোঁজে দুদক
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল এবং কারা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত রবিবার কমিশন এসংক্রান্ত অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কিছু দালিলিক নথি প্রমাণ হিসেবে পাওয়ার পর কমিশন তাদের দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে।
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের শূন্য দশমিক ৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারি, একই মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ-খতিয়ানে আরো ১৫০ কাঠা জমি দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় এবং খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরি করে নিজ নামে বেনামে বরাদ্দ নিয়ে প্রায় দুইশ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত্সহ গুলশান-বনানীর ৫০ থেকে ৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
অপর দিকে বিদেশে দুর্নীতি মামলায় আটককৃত সাবেক এমপি মো. শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবৈধ সুযোগ নেওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে তার অনুসন্ধান করা হবে। কমিশনে তার বিরুদ্ধে চলমান অন্যান্য অভিযোগ অনুসন্ধানের সাথে এটি যুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক এমপি পাপুল ও অন্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কুয়েতের জেলে রয়েছেন।