ভোট চুরির করতে এই সার্চ কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি ঘোষণার পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ভোট চুরির প্রজেক্ট শক্তিশালী করতে এই সার্চ কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এই সার্চ কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টতা নেই রাজনৈতিক দলগুলোর। এমন সার্চ কমিটি মানুষ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে আসবে না। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির। সার্চ কমিটি নিয়ে আগ্রহ নেই। আমরা আশা করি, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সার্চ কমিটি হোক আর যাই হোক, যে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হোক, আমরা এই সরকার থাকলে কোনো নির্বাচনে যাব না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই প্রসঙ্গে মতামত তুলে ধরেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি ঘোষণা এই সরকারের ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ। অতীতেও এভাবে নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে সার্চ কমিটি করে ভোট চুরি করেছে তারা। নতুন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার আসবে, সেই সরকারের অধীনে সার্চ কমিটি গঠিত হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এই আওয়ামী লীগ সরকার বা এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। তিনি জানান, এই সার্চ কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সংশ্লিষ্টতা নেই। এমন সার্চ কমিটি মানুষ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে আসবে না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আগ্রহী না বিএনপি। কারণ এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং এমন একটি প্রশাসন থাকবে, যে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে। যেটা হয়েছে ৯১, ৯৬ এবং ২০০৮ সালে। সেরকম একটা কমিশন দরকার। কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। সার্চ কমিটি হোক কিংবা নির্বাচন কমিশনই হোক, আওয়ামীলীগ সরকার থাকলে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন তো পরিচালনা করবে সরকার।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সার্চ কমিটি হলো জনগণকে বিভ্রান্ত করা। আওয়ামী লীগের বাইরে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন দল প্রত্যাশা করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এবিসিবি/এমআই