ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য মেইলের বিরুদ্ধে মামলায় জিতেছেন মেগান মার্কেল
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য মেইলের বিরুদ্ধে ‘প্রাইভেসি’ মামলায় জিতেছেনব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল।তার এই জয়ের খবর রবিবার (৭ মার্চ) পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপানোর আদেশ দিয়েছেন লন্ডন হাই কোর্টের একজন বিচারপতি। মেগান তার বাবাকে লেখা ৫ পাতার একটি চিঠির কিছু অংশ দ্য মেইল ছাপিয়ে দিয়েছিল। প্রতিবাদ জানিয়ে কাজ না হওয়ায় ‘প্রাইভেসি’ সুরক্ষার আইনে মামলা করেন মেগান মার্কেল। বিচারপতি মার্ক ওয়ারবি ঐ মামলার রায়ে জানান, বাবাকে লেখা মেগানের চিঠি ছাপিয়ে পত্রিকাটি স্পষ্টতই রাজপরিবারের গোপনীয়তা এবং কপিরাইটের অধিকার লঙ্ঘন করেছে মেগানের।
ব্রিটেনের রানি ২য় এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির সাথে ২০১৮ সালে মেগানের বিয়ে হয়। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না মেগানের বাবা। ঐ সময় মেগান তার বাবা টমাস মার্কেলকে লেখেন ঐ চিঠি। গত শুক্রবার বিচারপতি ওয়ারবি মেইল পত্রিকাকে আদেশ দিয়ে বলেন, পত্রিকাটিকে অবশ্যই রবিবার (৭ মার্চ) তাদের প্রথম পাতায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করতে হবে এবং ভেতরের পাতায় মামলার রায় নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।
এছাড়া, দ্যা মেইল অনলাইন ভার্সনেও মেগানের জয়ের খবর এক সপ্তাহ প্রচার করতে হবে। এই মামলার খরচ হিসেবে মেগান মার্কেল আইনজীবীরা পত্রিকাটির ১৫ লাখ পাউন্ডের বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। কিন্তু বিচারক পত্রিকাটিকে সাড়ে ৪ লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন। শুনানিতে মেইল পত্রিকার আইনজীবীরা বিচারকের নিকট এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চাইলে তা তিনি বাতিল করে দেন। তবে তিনি জানান, ‘এজন্য সরাসরি আপিল কোর্টে আবেদন করতে পারে তারা চাইলে। যদিও সেখানে এই মামলার রায় পরিবর্তন হওয়ার কোনো প্রকৃত কারণ দেখতে পাচ্ছি না আমি।’
এদিকে, হ্যারি ও মেগানের যে সাক্ষাত্কার অপরাহ উইনফ্রে নিয়েছেন সেটি শোনার জন্য অপেক্ষায় আছে সারাবিশ্ব। ঐ সাক্ষাত্কারটি রবিবার (৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস চ্যানেলে ও যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে সোমবার প্রচার করার কথা আছে। সাক্ষাত্কারটির ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার ক্লিপ সিবিএস প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে উইনফ্রে ডাচেসের কাছে জানতে চাইছেন ‘আপনি আজ যদি সত্য প্রকাশ করেন তবে রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে মনে করেন?’ জবাবে মেগান জানান, ‘আমি জানি না তারা কীভাবে প্রত্যাশা করে যে চুপ থাকব আমরা, যখন কি না আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনাকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে রাজপরিবার ও তাদের কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’
