Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলো

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলো। বিশ্বের শীর্ষ তেল আমদানিকারক চীনের চাহিদা কমে যাওয়া এবং সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক সৌদি আরবের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে।

জ্বালানির সংবাদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অয়েলপ্রাইসডটকমের তথ্য অনুসারে, সোমবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৪.৪৬ শতাংশ কমে ৯৩.৭৭ ডলার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দর প্রতি ব্যারেলে ৪.৭১ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৭.৭৫ ডলার। মারবান অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৯৩.৮৩ ডলারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অপ্রত্যাশিতভাবে গত জুলাইয়ে চীনের অর্থনীতির গতি কমেছে। সেই সঙ্গে দেশটির দৈনিক পরিশোধিত তেল উৎপাদন কমে হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর চীনের অর্থনীতির গতি ও পরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন এতটা কমেনি।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুডিস অ্যানালিটিকসের অর্থনীতিবিদ হেরোন লিন বলেছেন, চীন সরকারের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জ্বালানি তেলের দামের রেকর্ড হওয়ার কারণে চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে দেশটিতে জ্বালানির চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।

তিনি বলেন, এ বছরের বাকিটা সময় তেলের চাহিদা কম থাকবে। কভিড বিধিনিষেধে আগাম সতর্কতার কারণে সঞ্চয়ের সঙ্গে তেলের চাহিদাও কমেছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সৌদি অ্যারামকোও তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের রোববার বলেছেন, সৌদি সরকার অনুরোধ করলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করতে প্রস্তুত তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহাল করলে বাজারে আরও তেল আসবে। কারণ ওই চুক্তি পুনর্বহাল হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে। এতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও কমতে পারে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »