বাংলাদেশ ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার আশ্রয় মানবতা ও উদারতা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ: প্রেসিডেন্ট বাইডেন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেন বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের মূল্যায়ন করে এবং আগামী ৫০ বছর ও তার পরের সম্পর্ক মজবুত করতে প্রত্যাশী।

তিনি একটি বার্তায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে মূল্য দেয় এবং গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি যৌথ অঙ্গীকার শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তি গঠন করে আমরা আশা করি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, আগামী ৫০ বছর এবং তারও বেশি সময় ধরে আমাদের দেশের মানুষের জন্য আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে এই প্রতিশ্রুতিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে উদগ্রীব তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বিকেলে ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এক ভিডিও বার্তায় তার প্রেসিডেন্টের চিঠি পাঠ করেন।
বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং দুর্দান্ত আশা ও সুযোগের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে জো বাইডেন বাংলাদেশের মানুষ তাদের ‘অসাধারণ সাফল্যের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার আশ্রয় মানবতা ও উদারতা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ উল্লেখ করে জানান, এই সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্র একটি দৃঢ় অংশীদার হতে থাকবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করে জানান, তার প্রশাসন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঢাকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দিনে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি যখন আপনারা জাতি হিসেবে স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী পালন করছেন।

বার্তায় তিনি ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের কাহিনী বিশ্বের কাছে একটি শিক্ষণীয় হবে। বাঙালি জাতির জন্ম অন্যান্য দেশের জনগণের কাছে অনুপ্রেরণা হবে।

ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে মিলার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে সম্মান করেন তারা এবং বাংলাদেশের জনগণের অসাধারণ অগ্রযাত্রাকে স্যালুট জানান।

তিনি জানান, আমরা সকল বাংলাদেশীদের জন্য একটি উজ্জ্বল সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আমাদের শুভেচ্ছা জানাই, যারা জাতির প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে সম্মান করেন।