Type to search

Lead Story জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বাংলাদেশে না আনতে সরকারের প্রতি ভিপি নুরের অনুরোধ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে না আনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শ্রমিক অধিকার পরিষদের উদ্যোগে শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটককৃত সকলের মুক্তি ও আইনটি বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর জানান, ‘আপনারা শুনেছেন- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রোগ্রামে আমাদের দেশে অতিথি হয়ে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেই মোদিকে ভারতেই গুজরাটের কসাই নামে আখ্যায়িত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ রেড লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করেছিল, আমেরিকা সফর স্থগিত ছিল।’

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে এনে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে তামাশা করবেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ছিনিমিনি করবেন না।’

সাংবাদিকদের ওপর সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে অভিযোগ করে নুর জানান, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সরকারি দলের নেতারা। সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সরকারি দলের নেতারা। এই করোনাভাইরাসকালে প্রায় শতাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। কয়েকজন সম্পাদক আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন- এই আইনের ফলে বন্ধ হয়ে যাবে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ। তারই প্রতিফলন ঘটছে এখন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন লেখালেখি করতে পারছেন না সাংবাদিকরা। সরকারের দুর্নীতি, খুন, গুম নিয়ে আলোচনা করা যায় না। ইতিহাসে যত সংকট হয়েছে, বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক-শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিবাদের ফলেই স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটেছে।’

ভিপি নুর বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বিতর্কিত কালো আইন বাতিল করা না হলে ঘেরাও করা হবে জাতীয় সংসদ ভবন। ২৬ মার্চের পরে আমাদের কর্মসূচি হবে গোটা বাংলাদেশের মানুষের নিয়ে, এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি।’

Translate »