Type to search

Lead Story রাজনীতি

নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার মহাপরিকল্পনা শুরু হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নির্বাচনের আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার মহাপরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করা, আটকে রাখা। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দিয়ে আটক রাখা। ইতিমধ্যেই তারা এটি শুরু করেছে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন ও বিচার শুরু করায় আদালতের নির্দেশে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। বলা হয় যে, বিরোধী দলকে নির্মূল করার নীল নকশার অংশ হিসেবে ১/১১ অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান জোবায়দা রহমান এবং এই জিয়া পরিবারের সব সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রহসনমূলক বিচার ও ফরমায়েসী রায় দিয়ে তাদেরকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার হীন চক্রান্ত করছে।

তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা মামলার বিচারকাজ শুরু করার লক্ষ্য হচ্ছে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানকে রাজনীতির বাইরে রাখা। প্রকৃতপক্ষে এই অবৈধ সরকার বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

শুধু জিয়া পরিবাররই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের প্রায় ৪০ লাখ নেতা-কর্মী ও সমর্থনকারীর নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, কারাগারে নির্যাতন, হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি মনে করে থাকে জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে জনগণ আর দেখতে চায় না। এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

বঙ্গবাজারসহ সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন না করে বিরোধী দলের প্রতি আঙুল তোলা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর কৌশল। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডই এই অবৈধ সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঘটছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর ও সংগঠনগুলোর তদারকির অভাব, সীমাহীন উদাসীনতা ও দুর্নীতির কারণেই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল মাত্র।-ইত্তেফাক

এবিসিবি/এমআই

Translate »