দেশে অবশ্যই নির্বাচন হবে, সেটা তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে অবশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের দফা এক, দাবি এক- শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার ১০-১২ বছরে তিস্তার পানি আনতে পারেনি। সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে পারেনি। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য এনেছে ঋণ। সেই ঋণের বোঝা জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। তাদের পকেট কাটা হচ্ছে। আসলে তারা পুরো দেশটা খেয়ে ফেলেছে। তরুণ প্রজন্মকে আবারও ভোটাধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, আব্দুল খালেক, শাহিন শওকত, আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল মতিন, আমিনুল ইসলাম, ফজলুর রহমান খোকনসহ আরও অনেকে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ৬ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তরুণ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। গত বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই