আলোচিত নায়িকা পরীমণি গ্রেপ্তার, বাসায় তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার

বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির বাসায় প্রায় তিন ঘণ্টা র্যাবের অভিযানের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটকের পর র্যাব -১ কার্যালয়ে তাকে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-১ ও র্যাব সদর দপ্তরের একাধিক টিম তার বাসায় অভিযান শুরু করে।
আলোচিত এই নায়িকার বাসায় অভিযানের খবর পেয়ে তার বাসায় সামনে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। সবারই ভাবনা তাহলে পরীমণি কি অবশেষে আটক হচ্ছেন? যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি এখনও কিছু।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে তার বাসায়, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মুজিবুর বলেন, র্যাব সদরদফতরের একটি গোয়েন্দা টিম মূলত অভিযান পরিচালনা করছে। আমরা সদর দফতরের টিমকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে এসেছি। মূলত আমরা অভিযানস্থলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি।
জনতাকে সড়ক থেকে সরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তারা সড়কে থাকা মানুষদের সরিয়ে দেওয়ার কাজটি করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরীমনিকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তার বাসার সামনে ভিড় জমিয়েছে হাজারো মানুষ। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এমন উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে নাকিয়া পরীমণির বাসার সামনে মাইকিং করছেন বনানী সোসাইটি।
এসময় উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ সদস্যরা জানান, ‘ভয়াবহ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দয়া করে সকলে সর্তক থাকুন। সাংবাদিক ভাইয়েরা ছাড়া সাধারণ মানুষ দয়া করে এখান থেকে চলে যান।’
পরীমনির বাসার নিচে গ্যারেজে অপেক্ষা করছেন র্যাবের বেশির ভাগ সদস্য। বাসার মূল ফটক লাগিয়ে দিয়ে ভেতর থেকে বাইরে বা বাইরে থেকে ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি জানান, ‘কারা যেন ঢোকার চেষ্টা করছে আমার বাসায়। কেউ রঙিন কাপড় পরে আছেন, কেউ কালো কাপড় পরে আছেন। এরা কারা ভাই? আমি লাইভ কাটছি না।’ পরীমনি বলেন, ‘পুলিশ হলে তো দরজা খুলেই দেব। কিন্তু তারা তো পরিচয় দিচ্ছে না। মেরে ফেললে সবার সামনে মেরে ফেলে যাক। আমি লাইভ কাটব না। সবাই দেখুক। সবাইকে দেখায় দেব, এরা কী কী করে।’
নায়িকা পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন। সে ঘটনায় কয়েকজন আটকও হয়েছিলেন, আবার জামিনও পেয়ে গেছেন তারা। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে আলোচিত পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।