কাজাখস্তানে সহিংস বিক্ষোভে মৃত্যু অন্তত ২২৫

মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে সহিংস বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২২৫ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এসব তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ধীরে ধীরে সহিংস বিক্ষোভে রূপ নেয়। বিক্ষোভ দমাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ২২৫ জন নিহত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধি সেরিক সালাবায়েভ শনিবার জানান, দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে এ পর্যন্ত ২২৫ জনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনা বাহিনীর সদস্য।
‘নিহতদের মধ্যে কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসীও ছিল’, যোগ করেন সেরিক।
তিনি আরও বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন বেসামরিক নাগরিকরাও।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ জনের কম নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬ জন ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ ও ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। যদিও গত সপ্তাহে অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছিল, ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু পরে তা দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আসেল আরটাকশিনোভা বলেন, দুই হাজার ৬০০ এর বেশি মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬৭ জনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে কর্তৃপক্ষ এ সহিংসতার জন্য, দস্যু ও আন্তর্জাতিক ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করছে।
দেশটিতে কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অরগানিজেশনের (সিএসটিও) আওতায় মোতায়েন করা রাশিয়ার সেনা বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।
গত শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাদের সেনাদের বহন করা সব উড়োজাহাজ দেশে ফিরে এসেছে।
আটক আন্দোলনকারীদের মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ আসার পর অপব্যবহার এড়ানোর জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত তোকায়েভ গেল শনিবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রসিকিউটরদের জানিয়েছে, যারা বড় ধরনের অপরাধ করেনি তাদের বিরুদ্ধে যেন নমনীয় আচরণ করা হয়।
২ জানুয়ারি দেশটির সরকার এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরুসুলতান নাজারবায়েভের প্রতি অসন্তোষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। নুরুসুলতান ৩ দশক দেশটি শাসন করেন এবং এখনও তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়।
এবিসিবি/এমআই