করোনা মহামারিতে ভারতে অতিরিক্ত মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে: গবেষণা

ভারতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে অতিরিক্ত মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় পাওয়া গেছে।
আগের কয়েক বছরের সাথে তুলনা করে এ হিসাব করা হয়েছে। ওই বছরগুলোতে কত লোক মারা যেত, আর এবার তার চেয়ে কত বেশি লোক মারা গেছে, তা থেকে অতিরিক্ত মৃত্যু হিসাব করা হয়েছে।
তবে এসব মৃত্যুর কতটি কভিড-১৯ এর কারণে হয়েছে, তা বলা কঠিন। যদিও মহামারির সামগ্রিক প্রভাবের একটি হিসাব পাওয়া যায় এসব মৃত্যুতে। এছাড়া সরকারিভাবে ভারতে কভিডে ৪ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
মহামারিকালে অতিরিক্ত কত মৃত্যু ঘটেছে, তার হিসাববিহীন অল্প কয়েকটি প্রধান অর্থনীতির দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের গবেষকরা মহামারির চলাকালে ২১ জুন পর্যন্ত ভারতের অতিরিক্ত সব মৃত্যুর হিসাব করতে ৩টি ভিন্ন তথ্য উৎস ব্যবহার করেছেন।
গবেষণায় ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক বাস করে এমন ৭টি রাজ্যের মৃত্যুর নথিবদ্ধ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অজানা পরিস্থিতিতেও বিদ্যমান এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। ভারত বার্ষিক মৃত্যুর জরিপ করে আসলেও শুধু ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
দ্বিতীয়ত গবেষকরা দুটি দেশব্যাপী অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে বয়সভিত্তিক সংক্রমণে মৃত্যু হারের আন্তর্জাতিক হিসাব প্রয়োগ করে ভাইরাসে কত লোকের মৃত্যু হয়েছে, তা নির্ধারণ করেছেন।
তৃতীয়ত তারা ভারতের ১ লাখ ৭৭ হাজার পরিবারজুড়ে থাকা আট লাখ ৬৮ হাজার লোকের ভোক্তা জরিপ খতিয়ে দেখেছেন। বিগত ৪ মাসের মধ্যে এসব পরিবারের কারও মৃত্যু হয়েছে কি-না এই জরিপে তারও রেকর্ড রাখা হয়।
এসব উৎস থেকে পাওয়া তথ্য একত্র করে গবেষকরা অতিরিক্ত মৃত্যু ৩৪ লাখ থেকে ৪৭ লাখের মধ্যে হবে বলে হিসাব পান। এ সংখ্যা ভারতে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সরকারি হিসাবের প্রায় ১০ গুণ।
এসব মৃত্যুর সবগুলোই কভিডের কারণে হয়নি এবং এ রোগে প্রকৃতপক্ষে কত লোকের মৃত্যু হয়েছে, সে হিসাব দেওয়া কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন অন্যতম গবেষক ও ভারতের অর্থনীতি বিষয়ক সাবেক প্রধান উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রাহ্মনিয়াম।