Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দলে দলে মানুষের পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সংখ্যা যুক্ত হচ্ছে এর সঙ্গে। যুদ্ধের ভয়াবহতায় মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দি‌গ্বিদিক ছুটছে। কখনো-বা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে আবার কখনো নিজ দেশে একটু নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে।

যদিও নিজ দেশে আশ্রয় খোঁজা মানে স্বেচ্ছায় বিপদকে ডেকে আনা। কারণ সেখানে থাকার মানেই মৃত্যুর কাছে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া। যারা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে এসেছে, তাদের অনেকের মুখে শোনা যায়, তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। তারা বলেন, আমাদের স্মৃতিতে এখন শুধু বিধ্বস্ত নগরীর ছবি ভেসে উঠছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে ৪০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়। ভিনদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিয়েছে তারা।

বুধবার (৩০ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্হা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪০ লাখ ১৯ হাজার ২৮৭ জন ইউক্রেনীয় দেশটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এই শরণার্থীদের মধ্যে ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থার কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ সীমান্ত এলাকার দিকে যাত্রা করছে। এর পাশাপাশি আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিরোধের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে অনেকে।

এদিকে শান্তির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রাশিয়া সে কথা রাখেনি। নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনে। দেশটির চেরনিহিভ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, ঐ এলাকায় রাশিয়ার হামলার তীব্রতা কমেনি। যদিও ঐ এলাকায় সামরিক কার্যক্রম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মস্কো। গভর্নর ভিয়াচেস্তাভ চাউস এক টেলিগ্রাম বার্তায় রুশ প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেন। চেরনিহিভ অঞ্চলে রাশিয়া রাতভর বোমা বর্ষণ করেছে দাবি করে তিনি লেখেন, ‘আমরা কি এতে (রুশ প্রতিশ্রুতি) বিশ্বাস রাখব? অবশ্যই না।’

গত মঙ্গলবার রাশিয়া জানায় চেরনিহিভ এবং রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা কমানো হবে। তবে বুধবার প্রথম প্রহরে কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন শোনা যায়। কিয়েভের ডেপুটি মেয়র মাইকোলা পোভোরোজনিক জানিয়েছেন, রাজধানীতে রাতভর বোমা বর্ষণ হয়নি; কিন্তু আশপাশের এলাকায় লড়াইয়ের বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা গেছে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »