ঢাকায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে দিহানের স্বীকারোক্তি
ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহান
রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রী আনুশকাহকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিকেল ৪টার পর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর আগে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে তার। স্বজনদের দাবি, আনুশকাকে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে দীহান ও তার সহযোগীরা। হত্যার বিচার দাবি করেন তারা। আনুশকা ধানমন্ডির মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভের ছাত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, মেয়েটির শরীরের ওপরের দিকে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার বন্ধু দিহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে তার দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায় আনুশকাহর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানব বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে।
পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, ওই বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানকে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।