আফগান সংকটে আমেরিকাসহ ৬৫ দেশের বিবৃতি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করল তালেবান। এমন পরিস্থিতিতে যারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চান, তাদের বাধা না দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬৫টি দেশ। দেশত্যাগে ইচ্ছুক আফগানদের কোনো হয়রানির শিকার হলে এর দায় তালেবানকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে এসব দেশ।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ৬৫ দেশের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি পোস্টও করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। টুইটে তিনি বলেন, আফগানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক যারা দেশত্যাগ করতে চান, তাদের যেন তা করতে দেওয়া হয়। এটি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার ও যুক্তরাজ্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতায় যারা রয়েছেন, তাদের ওপর দেশটির নাগরিক ও সম্পদের সুরক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ওপর আফগানিস্তানে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও বর্তায়। আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এ ছাড়া আফগানদের সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে । এদিকে তালেবানদের হাতে কাবুলের পতনের পর আফগানিস্তানে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বহু আফগান। রোববার সকাল থেকেই হাজার হাজার বাসিন্দা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায় জনস্রোত। সব বাণিজ্যিক বিমান বন্ধ। তাই বিভিন্ন দেশের সামরিক বিমানে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে ওঠেন হাজারো মানুষ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, একটি বিমানে উঠতে লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। অনেকে বিমানের ছাদেও উঠে পড়েন। কেউ কেউ বিমানের ডানায় ঝুলে পড়েন। মানুষের চাপ সামলাতে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে তারা গুলিতে নাকি হুড়োহুড়িতে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করা এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি এখানে খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছি। তারা (মার্কিন সেনা) অনেক ফাঁকা গুলি চালিয়েছে।’