Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের

আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। ভূমিকম্পে এক হাজারেরও বেশি নিহত ও অন্তত এক হাজার ৫০০ জন আহত হয়। অজ্ঞাতসংখ্যক এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, অধিকাংশই মাটির তৈরি ঘরবাড়ি। এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ জরুরি আশ্রয় ও খাদ্যসহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব ও ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বেঁচে যাওয়া লোকজন ও উদ্ধারকারীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্হলের আশপাশের গ্রামগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, সেসব এলাকায় রাস্তা ও মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই আফগানিস্তান একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতা আব্দুল কাহার বালখি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের যে পরিমাণ সহায়তা দরকার,তা দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য সরকারের নেই।

ত্রাণ সংস্হাগুলো, প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্ব শক্তিগুলো সহায়তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাহায্যের পরিমাণ খুব বড় আকারে বাড়ানো দরকার, কারণ এটি একটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প যার অভিজ্ঞতা কয়েক দশকের মধ্যে হয়নি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, জাতিসংঘ এই বিপর্যয়ে ‘সর্বাত্মকভাবে’ সাড়া দিচ্ছে। স্বাস্হ্য টিম, চিকিত্সা সরবরাহ, খাদ্য ও জরুরি আশ্রয়ের উপকরণ ভূমিকম্প উপদ্রুত অঞ্চলের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বের অভিভাবক সংস্হাটির কর্মকর্তারা।

এদিকে আফগানিস্তানের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ জাপানও আফগানিস্তানকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র একইদিন জানিয়েছেন।

এবিসিবি/এমআই

Translate »