আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগের সুপ্ত বাসনা ছিল, তারা দেশের মালিক হবে। সে পথেই হাঁটছে তারা। ধীরে ধীরে তারা আদালত, রাষ্ট্রযন্ত্র, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, সংসদ- সব কিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন,বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়ায় নিজ বাড়িতে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে। গত ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোটডাকাতি করে মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিস্তৃত করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে বিভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন কৌশলে তারা আদালতকে ব্যবহার করছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হালহকিকত একই আছে নির্বাচনের। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা রক্ষা করতে এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে।
তিনি বলেন, অন্য সময় মানুষের কাছে যাওয়া যায় না, তাদের সাথে কথা বলা যায় না। গেলেই নানা অজুহাত তুলে মামলা দেয়, তারা হামলা করে। বাধা দেয় না নির্বাচনের সময়। এ সময় সুযোগ তৈরি হয় জনগণের সাথে কথা বলার, দেখা করার।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের চিরাচরিত অভ্যাস চুরি করা, দুর্নীতি করা। করোনা টিকার ক্ষেত্রেও এই মোহ ছাড়তে পারছে না তারা। তারা ৩ ডলারের ভ্যাকসিন ৫ ডলার দিয়ে কেনা হচ্ছে। অতিরিক্ত ডলার কোনো এমপি-মন্ত্রীর পকেট থেকে যাবে না, যাবে মানুষের ট্যাক্স থেকে।
‘এখানেও আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্নীতির একটি বড় অংশ রয়েছে। আর এই কন্ট্রাক্ট যিনি পেয়েছেন তিনি সরকারের উপদেষ্টা হলেও একজন বড় ডিফোল্ডার ব্যাংকের। এ থেকেই বোঝা যায় ঘুষ ও দুর্নীতি এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ ঠিক করেছে কী দামে কী মূল্যে দেশের নাগরিকরা ভ্যাকসিন পাবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই বিষয়ে রোডম্যাপ করা হলেও হয়নি পরিষ্কার করা। এখনও অস্বচ্ছ রয়ে গেছে মানুষ।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মামুন-উর রশিদসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।