আওয়ামীলীগ সরকারের অপকর্ম দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হচ্ছে বললেন রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারের অন্যায়-অপকর্ম সবাই জেনে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের অন্যায়-অত্যাচার আজকে শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবে এটি প্রচারিত হচ্ছে প্রকাশিত হয়েছে। তারা মুখ দেখাতে পারছেন না। তাই আর যাতে কেউ কথা বলতে না পারে, কণ্ঠের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তারেক রহমানকে দেশে আসতে না দিয়ে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য তৈরি করেছে এই ফ্যাসিবাদী ক্ষমতাসীন সরকার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মনে করছেন আজীবন এমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন তিনি। অপকর্ম কেউ জানবে না তার। কিন্তু যেনে গেছে সবাই। আইন আদালত নিয়ে, বিচার বিভাগ নিয়ে এবং মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি যে অপকর্ম করেছেন, সেই অপকর্ম এখন দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও তার আত্মার মাগাফিরাত কামনা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি সংকটকাল অতিক্রম করছি।তাই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিশ্বাস করে তারা সবাই আজকে একত্রিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজকের এই কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদের ভয়ঙ্কর রূপে আত্মপ্রকাশ করার এই সরকার নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন করছে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি। খালেদা জিয়া বন্দি তার পরও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাকে মানসিকভাবে শারীরিকভাবে উপর্যপ্ত করার জন্য নানাভাবে নানান পন্থা অবলম্বন করছেন প্রধানমন্ত্রী। সে কারণে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তারা বিক্ষুব্ধ।
খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আজ মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি করার কথা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফুটপাতেও দাঁড়াতে দেয়নি তাদের। পরে কার্যালয়ের ভেতরে প্রতিবাদসভা করে কর্মসূচি শেষ করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে মনে হয়েছে জিনজিরা এলাকায় হরতাল চলছে পুলিশ এমন অবস্থান নিয়েছেন, মানববন্ধন করতে চেয়েছিলেন যারা তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে কিছু দূরেই আওয়ামীলীগের অফিস সেখানে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যাতে মানববন্ধন করতে না পারেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। একদিকে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অন্যদিকে পুলিশের রাইফেল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেখলাম এক সড়কে পুলিশের দুই নীতি। অসংখ্য নেতাকর্মী এসেও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধায় অংশ নিতে পারেননি। এতেই বোঝা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের ভীত একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনি, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান, মৎসৎজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।