অবৈধ সরকারের সব কিছু অবৈধ: রিজভী
১০ বছর ধরে ২ জন হুদা গোটা জাতিকে বেহুদা বানানোর চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর উদ্যোগে ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।
রিজভী জানান, একটা হচ্ছে রকিবুল হুদা (রকিব উদ্দিন আহমেদ), আরেকটা নূরুল হুদা। একজন বিনাভোটে নির্বাচিত করিয়েছেন ১৫৩ জনকে। আরেকজন নিশিরাতে ভোট করেছেন। এই নূরুল হুদা চমৎকার মডেল আবিষ্কার করেছেন— কীভাবে দিনের ভোট ভোররাতে করতে হয়। এই চমৎকার মডেলটির আবিষ্কার করেছেন তিনি। সুতরাং এ ধরনের সফলতা তাদের ২ জনেরই আছে।
বিএনপির এই নেতা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কোনো ব্যর্থতা নাই আমার। আপনার ব্যর্থতা না সফলতা এটি জনগণ তাদের কাঠগড়ায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আমি মনে করি সিইসি নূরুল হুদার কোনো ব্যর্থতা নেই, তিনি সফল। কারণ ইভিএম মেশিন কিনতে যে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির সফলতা, এটা তো সফলতা হুদা সাহেবের! নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যে বিশেষ বক্তব্যের আয়োজন করেছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, সেখানে যে দুর্নীতি হয়েছে; সে সফলতা তো নূরুল হুদার সফলতা। তিনি নির্বাচন কমিশনে চাকরি করে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে, সেটি তো তার সফলতা। সুতরাং তার কোনো ব্যর্থতা নাই, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তার সফলতা রয়েছে।
তিনি জানান, অবৈধ সরকারের সব কিছু অবৈধ। এই সরকার অবৈধ’ তাই তাদের সকল কার্যক্রম ও অবৈধ। বৈধ হবে তখনই যখনই স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। এ সময় সব নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী জানান, প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মীকে কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এই যে একটা নির্যাতন, এটা থেকে বাঁচতে ঝাঁক বেঁধে রাজপথে নামতে হবে। ডাক আসছে আন্দোলনের। কে দেখল বা কে দেখল না, সেটি দেখার বিষয় না। একবারে ঝাঁক বেঁধে নেমে এ সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করে ব্যবস্থা করতে হবে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এবিসিবি/এমআই