Type to search

শিক্ষা

রাবি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাবেক উপাচার্যের স্ত্রীর মামলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ ৬জনের বিরুদ্ধে আদালতে সাবেক উপাচার্যের স্ত্রী অধ্যাপক মোমেনা জীনাত মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে রাজশাহী প্রথম যুগ্ম জেলা জজ জয়ন্তী রাণী দাস এর আদালতে মামলাটি তিনি দায়ের করেন। অন্যান্য বিবাদীরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরে কামরুজ্জামান ইরান আর্জির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ‘রাবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাদীর পেনশনসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস বাদীর মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, মামলার বাদী মোমেনা জীনাত অধ্যক্ষ ছিলেন রাবি শেখ রাসেল মডেল স্কুলের। অবসর গ্রহণের পর নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার পেনশন আটকে রাখা হয়েছে ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা। পাওনা বেতন, পিআরএল এর প্রাপ্য বেতন ভাতা, বৈশাখী বাতা, বোনাস, অর্জিত ছুটির প্রাপ্য, পেনশন গ্র্যাচুইটি ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ তিনি বিদ্যালয়ের কাছে এ অর্থ পাবেন বাদী মোমেনা জীনাত। তার পাওনা টাকা আদায়ে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। বাদী মোমেনা জীনাত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি উপাধ্যক্ষ এবং ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি পদন্নোতি পান অধ্যক্ষ হিসেবে। তিনি ২০১৯ সালের ৩০ জুন এলপিআরে যান। বাদীর অভিযোগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বর্তমান ভিসি বাদীর অবসরকালীন ভাতা বন্ধ রেখেছেন। এতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করলেও সরকার ওই সময় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়নি শেখ রাসেল মডেল স্কুলের। প্রতিষ্ঠানটির ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এখনো একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন পাওয়া যায়নি সরকারি। তাই সরকারি নিয়ম মোতাবেক বাদী মোমেনাকে প্রার্থীতা আর্থিক সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।

Translate »