চেক জালিয়াতি মামলায় বেরোবি কর্মকর্তা রিয়াজুলের ৬ মাসের জেল, ৭ লাখ টাকা জরিমানা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলায় ৬ মাসের জেল ও ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে পূর্বেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় আদালত পুনরায় ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক এসএম আহসানুল হক সাক্ষী-প্রমাণ ও শুনানি শেষে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রিয়াজুল ইসলাম ব্যক্তিগত দরকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম মিঠুর কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ধার নিয়ে দলিল হিসেবে একটি চেক দেন। রিয়াজুল পরে টাকা পরিশোধে টালবাহানা করতে থাকেন এবং তার দেয়া চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হয়। এই পরিস্থিতিতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন কর্মচারী মিঠু। আদালত রায়ে রিয়াজুলকে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান।
মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম মিঠু বলেন, রিয়াজুল টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিয়ে উল্টো আমার নামে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পরিশোধ করতে নানান টালবাহানা করে। ধার নেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি আমাকে চেক দিলে ব্যাংকে দেখি অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। পরবর্তীতে চেক ডিজঅনার হলে আমি প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার পর আইনের আশ্রয় নিয়েছি। মামলার খরচ বাবদ ইতোমধ্যে বহু টাকা চলে গেছে। তারপরও আদালতের মাধ্যমে মামলার রায় পেয়েছি এটাই অনেক।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলার বিষয়টি গোপন রেখে চাকরিতে বহাল ও পদোন্নতি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা জানান, আইনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি পর্যালোচনা করে শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলে জানান তিনি।