Type to search

সম্পাদকীয় ও মতামত

বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসা

স্বপ্না গুলশান :

(পুন:প্রকাশ, লেখাটি এবিসিবি নিউজে ৬ এপ্রিল প্রকাশিত  হয়েছিল)

 

বাংলাদেশে ঢাকার উত্তরা তে করোনা চিকিৎসার জন্য ‘কুয়েত মৈত্রি’ নামে যে হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে কয়টা ভেন্টিলেটর আছে? আজ দুদুকের এক কর্মকর্তা ওখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন । বাকি যারা চিকিত্সাধীন আছেন তাদের আপডেট কি? ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে কোন হাসপাতালে কয়টি ভেন্টিলেটর আছে ? প্রতিটি জেলার সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের কি অবস্থা? শুধু দায়সারা গোছের আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করলেই কি করোনা বিরুদ্ধে যথাযখ প্রস্তুতি আছে- এমন মুখস্ত করা কথা পাবলিক বিশ্বাস করবে? করোনা রোগী যুদ্ধ করতে করতে সর্বশেষ পর্যায়ে যখন শ্বাস কষ্টে ভোগে তখন শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তার জন্য ভেন্টিলেটর ভীষনভাবে দরকার । এই অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি কোন হাসপাতালে কতটি আছে- সরকার বা তার স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয় জানাবেন কি? আপাতত পদ্মা সেতু বা অন্য যেকোন প্রজেক্টের ব্যয় বন্ধ করে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করুন। যমুনা গ্রুপ দশকোটি টাকা, বসুন্ধরা গ্রুপ, এনসিসি ব্যাংক সহ অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারকে কোটি কোটি টাকা দান করছেন করোনা মোকাবিলায় । আন্তজাতিক সহায়তা তো আছেই । এসব অর্থ দিয়ে সরকার কি পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন ? তাছাড়া, বাংলাদেশ শুধু রাজধানি ঢাকা কেন্দ্রিক নয় । ঢাকার বাইরে প্রতিদিন বেশ কিছু মানুষ করোনা সিম্পটম নিয়ে মারা যাচ্ছে । প্রতিটি কেসের সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে রেকর্ড করুন; ট্রেসিং করুন কোথায় গিয়েছিল তারা বা কিভাবে এ রোগে আক্রান্ত হলো তারা? করোনা কোন পাপ বা অভিশাপ নয় । এটি যে কারো হতে পারে, যে কোন সময়ে , সচেতনতার অভাবে বা সঠিক তথ্য না পেলে।সেজন্য জনগনকে সঠিক তথ্য দেয়া খুবই জরুরী। সরকার ও আইইডিসিআরের দেয়া সঠিক তথ্যই আরো বেশি সচেতন করতে পারে জনগনকে ; বাঁচাতে পারে অনেক অনেক মুল্যবান জীবন।

(স্বপ্না গুলশান,  এডিটর : এবিসিবি নিউজ)

Tags:

You Might also Like

Translate »