মালয়েশিয়ায় যেসব সুবিধা পাবেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রম বাজার নিয়ে সম্পন্ন হয়েছে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ)।
মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ চুক্তিতে সই করেন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরে এ চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন।
যেমন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া, কর্মে নিয়োজিত করা, তাদের আবাসন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।
এতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স–সংক্রান্ত খরচ, ভিসা ফি, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন–সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং প্রত্যাবাসনে আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান একটি অন্যতম সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী বলে উভয় দেশ বিশ্বাস করে।
দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। সব সেক্টরে কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রী পরিষদ।
বিশেষ করে গৃহকর্মী, উৎপাদন, বাগান, কৃষি, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি। চুক্তি সই সম্পন্ন হওয়ায় এসব খাতে বাংলাদেশি কর্মীরা দেশটিতে যেতে পারবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা বারবার ব্যাহত করেছে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের তৈরি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এ বাজার দখলের চেষ্টায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে দেশটি ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, আগের চেয়ে এবারের সমঝোতা স্মারকে বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জিটুজি প্লাস পদ্ধতি উল্লেখ থাকছে না; থাকছে কর্মীদের বাধ্যতামূলক বিমা; কর্মীদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা; যুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি; চুক্তি মেয়াদে কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিকেও; বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত।
এবিসিবি/এমআই