ভিয়েতনামে বৈধভাবে গিয়েও দালালের খপ্পরে, কাজ না পেয়ে দেশে ফিরলেন ১০৭ বাংলাদেশি

বৈধভাবে ভিয়েতনাম গিয়ে চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি কর্মী ১০৭ জন। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ইউ-এস বাংলার একটি চাটার্ড ফ্লাইটে ভিয়েতনামের হ্যানয় থেকে যাত্রা করে বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান তারা। তাদের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন করোনাভাইরাসে ভিয়েতনামে আটকা পড়া ৫ প্রবাসী বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দেশে ফেরা কর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের বৈধ উপায়ে ভিয়েতনাম পাঠিয়েছিল। কিন্তু তাদের সাথে যে চাকরির চুক্তি হয়েছিল ভিয়েতনামে গিয়ে তা পাননি। বরং তারা দালালের খপ্পরে পড়েন। তাদের পাসপোর্ট আটকে রেখে দালালরা নামমাত্র বেতনে বিভিন্ন জায়গায় খণ্ডকালীন কাজ করতে বাধ্য করে। টাকার জন্য তাদেরকে নির্যাতন করা হতো। অনেক কর্মী বাধ্য হয়ে দেশ থেকে পাঠানো টাকা দিয়েছেন দালালদের। পরে নির্যাতনের বিষয়গুলো খবরের মাধ্যমে এলে সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
গত মাসের শুরুতে ১১ প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফেরত এলে চাকরি নিশ্চিত না করেই ভিয়েতনামে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর তিন রিক্রুটিং এজেন্সির কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করে র্যাব। পরে এজেন্সিগুলো আইনানুযায়ী কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে খরচ দিতে রাজি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এসব কর্মী গতকাল মঙ্গলবার দেশে ফেরেন।
ভিয়েতনামস্থ বাংলাদেশ দূতবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ১০৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়েছে। দূতাবাসের তৎপরতায় ভিয়েতনাম সরকার তাদের পাসপোর্ট উদ্ধার করে দিয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসায় দেশটিতে অবস্থানের মওকুফ করা হয়েছে জরিমানা। হ্যানয় বিমানবন্দরে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের বিদায় জানান।
২০১৪ সাল থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীকে ভিয়েতনাম পাঠিয়েছে রিত্রক্রুটিং এজেন্সিগুলো। কিন্তু ভিয়েতনামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দেশটিতে কাজের সুযোগ নেই বিদেশি কর্মীদের। অথচ এসব কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়ে সরকার স্টার্টকার্ড দিয়েছিল।