Type to search

কমিউনিটি

বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিমান ভাড়া দিতে রাজি নয় মালয়েশিয়ার এসএমই গ্রুপ

মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিমানের ভাড়া দিতে রাজি নয় দেশটির এসএমই অ্যাসোসিয়েশন। যদিও সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) শ্রমিকদের বিমান ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি করা হয় বাধ্যতামূলক।

অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল চিন চি সিওং জানান, এটি বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়। স্থানীয় নিয়োগকর্তারা তাদের কোম্পানিতে বিদেশি কর্মীদের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে এ বিষয়ে নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।

যদি এসএমইদের জরুরিভাবে কর্মীদের দরকার হয় এবং অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য থাকে তবে তারা বিষয়টি দ্রুত করার জন্য ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে পেতে পারে। কিন্তু অন্যদের জন্য যারা অপেক্ষা করতে পারে, এজেন্টরা কর্মীদের তাদের নিজস্ব বিমান ভাড়ার জন্য অর্থ দেবে।

মালয়েশিয়া ২০১৮ সালে আরোপিত বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে। ১৯ ডিসেম্বর ২ দেশের মধ্যে একটি নতুন এমওইউ স্বাক্ষরিত।

চিন জানান, নিয়োগকর্তারা মালয়েশিয়ায় আগমনের পর ডকুমেন্টেশনের যাবতীয় খরচ বহন করবে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা হতে চলেছে কারণ আমরা সবেমাত্র করোনা থেকে সেরে উঠছি। এই সমঝোতা স্মারকে সম্মত হওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প ছিল না। স্থানীয় শ্রমিক সংকটের কারণে আমাদের তাদের খুবই দরকার।

অর্থ প্রদানের মধ্যে একটি লেভি, ভিসা, মেডিকেল পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিমা গ্যারান্টি, করোনাভাইরাস পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনের খরচ এবং একটি মোবাইল ফোন সিম কার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে ফেরার বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য পরিষেবার ব্যয়ের জন্য নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই দায়ী থাকতে হবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীও জানিয়েছে যে মালয়েশিয়া থেকে বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সমিতির (সামেন্টা) সভাপতি কাম লিয়ান হুই জানান, এমওইউতে বেশিরভাগ ধারা মেনে চলা ছাড়া নিয়োগকর্তাদের আর কোনও বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আমরা আরও নমনীয়তার জন্য এবং নিয়োগকর্তাদের কথামতো চলার জন্য জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বেশিরভাগ নিয়োগকর্তাই মাসের শেষে ন্যূনতম বেতন দিতে পারেন এবং পরে ভাতা দিতে পারেন।

এবিসিবি/এমআই

Translate »