কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পালিত

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ঈদ উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হলো কানাডায়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় দেশটির বৃহত্তম শহর টরন্টোর বাংলা টাউনের ডেন্টোনিয়া পার্কে। এছাড়াও প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে একাধিক জামাত হয়।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ১০ এপ্রিল মহা আনন্দে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদের জামাতে অংশ নেন। টরন্টো ছাড়াও কানাডার বড় বড় শহরেও ঈদের জামাত হয়েছে।
কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মন্ট্রিয়ল থেকে সাংস্কৃতিকর্মী বাকী বিল্লাহ বকুল জানান, মন্ট্রিয়লেও আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন হয়েছে। ছুটির দিন না থাকলেও অনেকেই ছুটি নিয়ে দিনটি উদযাপন করেন।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টরেন্টোর সিটি মেয়র অলিভিয়া চাউ ও এমপিপি ডলি বেগম | ছবি: সংগৃহীত
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী দীন ইসলাম জানান, ডেন্টোনিয়া পার্কের জামাতে এসে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টরেন্টোর সিটি মেয়র অলিভিয়া চাউ ও এমপিপি ডলি বেগম।
সাংবাদিক মাহবুব ওসমানী বলেন, ‘ডেন্টোনিয়া পার্কের জামাত ছিল সর্বকালের বৃহৎ ঈদের জামাত। আমি কয়েক বছর ধরে প্রতি ঈদেই এখানে নামাজ আদায় করি। এবার অবাক হয়েছি, হাজার হাজার মুসল্লি দেখে। নারী মুসল্লিদেরও সারি ছিলো বেশ কয়েকটি।’
ব্যাংকার রুনা লায়লা প্রথমবারের মতো কানাডায় ঈদ উদযাপন করেন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসে ঈদ করে দেশের আত্মীয়-স্বজনদের ভীষণ মিস করেছি। তবে আমার ছেলে আরাফ জেরার্ডের মসজিদে নামাজ পড়েছে। আমরা কানাডার বাংলা পাড়ায় ঘুরে কিছুটা বাংলাদেশের আমেজ পেয়েছি।’
বাংলা টাউনে চাঁদ রাতে বাংলাদেশিদের ভিড় | ছবি: সংগৃহীত
অনেক অফিসেও ঈদের পার্টি দিতে দেখা গেছে। ফিলোপিনো ইয়াসমিন তার অফিসে প্রতিবারের মতো সহকর্মীদের নিয়ে পার্টি দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
এদিকে চাঁদ রাতে বাংলা টাউন ডেনফোর্থে বাংলাশিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। অনেকেই গান-বাজনা, আড্ডা, কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন। আবার মেয়েরা অনেকেই মেহেদি উৎসবে মেতে ছিলেন।
অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘অনেকের কাছে গাজায় মানবিক সংকটের কারণে আগের ঈদের উৎসবের চেয়ে এবার তুলনামূলক কম আনন্দের হবে। তারপরেও শান্তি এবং অভাবীকে সাহায্য করা—এখনও গুরুত্বপূর্ণ। ঈদুল ফিতর আপনার এবং আপনার প্রিয়জনদের জন্য শান্তি ও আশীর্বাদ নিয়ে আসুক।’
এবিসিবি/এমআই