Type to search

কমিউনিটি

কানাডায় ক্যালগেরিতে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল আলবার্টা’ সম্পন্ন

উৎসব মুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার ক্যালগেরির জেনেসিস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল আলবার্টা ২০২৩’। কর্মময় জীবনের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে প্রবাসী বাঙালিরা দুইদিনব্যাপী এই মিলনমেলার আনন্দ-উৎসবে মেতেছিলেন।

বাংলার সবুজ মাঠ পেরিয়ে বিশ্ব প্রান্তরে সূর্যের হাসি তেমন দেখা না মিললেও বৈশাখের রঙ, ভালোবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল। শিশু-কিশোর আর নারী-পুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল জেনেসিস সেন্টার।

নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরাই ছিল উৎসবের মূল লক্ষ্য। মেলায় ছিল রঙবেরঙের বাহারি শাড়ি, বাংলার ঐতিহ্যময় পিঠাপুলিসহ আকর্ষণীয় নানা পণ্যের স্টল।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শুভ্র দাস শুভ-সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কানাডার ফেডারেল সরকারের এমপি জসরাজ সিং হালান, আলবার্টা সরকারের আইন মন্ত্রী মিকি এমেরি, অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর আহমেদ ওয়াকার রাজা এবং অনুষ্ঠানের অন্যান্য স্পন্সর।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আমাদের আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা জানান, এই আনন্দঘন মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ বাংলাদেশের একঝাঁক তারকা

শুভ্র দাস শুভ বলেন, দুইদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান সবাই উপভোগ করেছেন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করে তুলেছেন।

কয়েস চৌধুরী বলেন, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।

আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর আহমেদ ওয়াকার রাজা বলেন, আমাদের সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। তারা যেন আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে ও চর্চা অব্যাহত রাখে। দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রবাসে আমরা ফিরে পেয়েছিলাম লাল-সবুজের বাংলাদেশকে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »