করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে রেকর্ড

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসীরা শুধু জুলাই মাসে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ইতিহাসে এক মাসে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।
গত জুন মাসের পুরো সময়ে ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নীত হয়েছে ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ ছিল।বাংলাদেশের তখন পর্যন্ত ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে পৌঁছেছে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রেমিট্যান্সে দেশের এ অনন্য রেকর্ডে প্রবাসীদের প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের উপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে। যার ফলে গত বছর রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি আমরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স বৈধপথে আনতে সামনের দিনে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটা আমরা নেব। দেশের প্রতি প্রবাসীদের রয়েছে অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ। টাকা পাঠাতে তাদের যত বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে।