Type to search

সারাদেশ

রাজধানীর বাস টার্মিনাল-রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ, সদরঘাট লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনগুলো ছিল ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়-বাসের জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ। তবে অন্য সময়ের মতো বাস প্রায় নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন ট্রাক ও পিকআপে। কেউ গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছেন। সেখান থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে অন্য গাড়িতে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

তবে গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গগামী প্রায় সব বাস নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পর ছাড়ে ঢাকা। এর কারণ হিসেবে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট থাকায় বাস দেরিতে ঢাকায় ঢুকছে। এছাড়া, মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নানা স্থানে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে।

অন্যদিকে সায়েদাবাদ টার্মিনালে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বেড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের রুটের বাস। এতে টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হতে সময় লাগছে। পদ্মা সেতু দেখার জন্য অনেকে পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি যেতে চান। মানুষের ভিড় বেশি থাকায় টিকিট পাচ্ছে না তারা।

বেসরকারি চাকরিজীবী আসাদুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর তিনি এই প্রথম বরিশালে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। কিন্তু কাউন্টার ঘুরেও বাসের টিকিট জোগাড় করতে পারেননি।

ঈদযাত্রার ৩য় দিন বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় বেড়েছে মানুষের। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি যেতে উদগ্রীব তারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক মানুষকে দেখা গেছে ট্রেনের ছাদে উঠে বসতে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে স্টেশন থেকে বেশিরভাগ ট্রেনই ছেড়ে যায় নির্ধারিত সময়ে, তবে কয়েকটি ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছেড়েছে। সেটাও ১৫ বা ২০ মিনিটের বেশি নয়।

এবিসিবি/এমআই

Translate »