মসজিদে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু বেড়ে ৪
জেলা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র দুপক্ষের সংঘর্ষে মুখলেছুর রহমান নামে আরও ১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪ জন।
নিহত মুখলেছুর রহমান (৬০) হাসনাবাদ এলাকার মালদার পক্ষের মৃত আজির মোহাম্মদের ছেলে। সোমবার সকালে সংঘর্ষে আহত হয়ে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়িতে মারা যান তিনি।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী মুখলেছুর রহমানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত মারা যান। তারা হলেন- হাসনাবাদ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪২), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) ও আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৪)।
এ ঘটনায় নূরুল ইসলাম নূরুল (৩৫), জিলাল মিয়া (৩৫), বুরহান উদ্দিন (৩৪), আফাজ মিয়া (৩৫), আমিরুল ইসলাম (৩০), মিজানুর রহমান (২৫), শাহাদুল ইসলাম (৪৫), আনোয়ার উদ্দিন (৫৫), আকরাম উদ্দিন (২৬), দিলাল মিয়া (৪০), শুকুর আলী (৬৫), সিজুল মিয়া (২৩), জুলু মিয়া (৪৫), মালদর পক্ষের ইশাদ আলী (৬০) ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলামসহ (৪০) উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের একটি কাঁঠাল নিলামে তোলা হয়। নিলামে অন্যদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এই এলাকার মালদর পক্ষের শেখ মিয়া, খচরু মিয়া ও মইনুর ইসলাম। এদের মধ্য খচরু মিয়া কাঁঠালটি কিনে নেন। কাঁঠাল নিলামের পর দ্বীন ইসলাম পক্ষের আবদুল বাহার বলেন কাঁঠালটি আরও বেশি দামে বিক্রি হতে পারত। তাছাড়া সেই নিলামের ডাকের কথা শোনা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন একপক্ষ।
এ নিয়ে ক্রেতা খচরু ও বাহারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গত ২ দিন ধরে এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে তাদের ঝগড়া থেকে বিরত থাকতে একাধিকবার বুঝিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করছি না। থানায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে সংঘর্ষে জড়িতদের আটক পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এবিসিবি/এমআই