পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় এ অঞ্চলটিতে অনুভব হয় শীত মৌসুমে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। শীতের শুরু থেকেই ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে ছিল তাপমাত্রার রেকর্ড। তবে গতকাল রবিবার সে রেকর্ড ভেঙ্গে তা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উপজেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই ঠাণ্ডা বাতাস বইতে দেখা যায়। এই ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের প্রকোপ অনুভূত হয়। সূর্যের আলোয় উষ্ণতা ছড়ালেও শীতের চাদরে ঢাকে পড়ন্ত সন্ধ্যা। রাত গভীর হতে থাকলে বাড়তে থাকে শীতের মাত্রা। এ সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বাড়ির উঠোনে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনেকেই পরতে দেখা যায় শীতের গরম কাপড়।

এবার শীতের কুয়াশা তেমন না থাকলেও কনকনে শীতের ফলে নিম্নবিত্ত,  দিন মজুরদের সকাল সকাল কাজে যেতে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়েই শীতের মধ্যেই কাজে যেতে দেখা যায়। চা বাগানগুলোতে শীতের কারণে শ্রমিকদের পাতা তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ২দিন ধরে শীত বেশি মনে হচ্ছে। নদীতে পাথর তুলতে নামলে বরফের মতো লাগে পানি। চা শ্রমিকরা জানান, পাতা তুলতে গেলে খুব ঠাণ্ডা লাগে। পাতায় পাতায় শিশির, বরফ মনে হয়।

উপজেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আগের তুলনায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। নভেম্বরের বেশিরভাগ ও ডিসেম্বর শুরু থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তবে তা ছিল ১০ এর উপরে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নয় দশমিক নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

এবিসিবি/এমআই