বিচার ও আইনের স্বাধীনতা নেই বলেই দেশে ধর্ষণের মত ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে, নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামীলীগ সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশে যে সংকট চলছে তা সভ্য সমাজের নয়। যে সমাজে কোনো বিচার নেই, যে সমাজে কোনো নৈতিকতা নেই, যে সমাজে কোনো আইনের স্বাধীনতা নেই, আজকে সেই সমাজে আমরা পরিণত হয়েছি। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার। তারা এই সমাজে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যকর সংকট সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সারাদেশে যারা অত্যাচার, ধর্ষণ, অবিচারের সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে। তারা এ কারণেই আরো বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে। সমাজ আজ যেখানে পৌঁছেছে, তার সমাধান চাইলে এই আওয়ামীলীগ সরকারকে সরাতে হবে।
দেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনাগুলোতে জাতিসংঘ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর চেয়ে লজ্জা আর কী হতে পারে একটা জাতির জন্য? যে জাতি স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যে জাতি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে জাতি আজকে উন্নয়নের জন্য লড়াই- সংগ্রাম করছে, সেই জাতিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন মত ভয়ঙ্কর একটা অবস্থায় আজকে চিত্রিত হতে হচ্ছে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাজের এই জঘন্য ও ভয়াবহতায় আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রতিষ্ঠা করতে হয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দলমত-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরাসরি বলতে হবে- আগামীতে আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আখতার, নিলোফার চৌধুরী মনি, অপর্ণা রায়সহ মহানগরের নেতারা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।