Type to search

রাজনীতি

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ করেছে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা। তবে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে অপরপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে অভিযুক্তরা।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো হলরুমে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন তুহিন মৃধা। এ সময় জালাল ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তুহিন মৃধা বলেন, ‘বহিষ্কৃত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ জালাল ফকির, জহিরুল ইসলাম মামুন ও কবির উদ্দিন ফকির শেখ হাসিনার পতনের পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপরাধ করছে তারা। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।’

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন, ৫ আগষ্টের পর জালাল ফকিরের দুই ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকির সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। বাসস্ট্যান্ড দখল, সড়কে চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্মে লিপ্ত তারা। রাহাত ফকিরে বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু জালাল ফকির এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার পক্ষে কাজ করেছেন। এর দরুণ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরে তিনি উপজেলা বিএনপির একটি অংশকে ব্যবহার করে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছেন। তাদের ব্যবহার করে এলাকায় লুটপাট, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জালাল ফকির হয়রারি করছে দাবি করে তুহিন মৃধা বলেন, তাদের এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে আমতলীর মানুষ শান্তিতে বাস করতে পারবে না। দ্রুত বহিষ্কৃত জালাল ফকির ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দলীয় এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহম্মেদ খান বলেন, ‘জালাল ফকির বিভাজন সৃষ্টি করে দলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তার কারণে উপজেলা বিএনপির দ্বন্ধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহম্মেদ খাঁন, অ্যাডভোকেট নাশির উদ্দিন তালুকদার, কামরুজ্জামান হিরু মৃধা, তরিকুল ইসলাম টারজান, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম সোহেল তালুকদার, উপজেলা কৃষক দল সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি তারিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, ছাত্রদল আমতলী সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি রাজিব মৃধা, চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. সোহেল মোল্লা ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘এগুলো মিথ্যে। যারা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ এনেছে তারা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ।’ তারাই এমন কর্মকাণ্ড করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘আমতলীর বিষয়ে আমি অবগত আছি। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-যুগান্তর

Translate »