করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতা, সীমাহীন নৈরাজ্য ও দুর্নীতি করে আজ দিশেহারা সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে এখন ইতিহাস বিকৃত করে অপরাজনীতিতে নেমেছে। যে গণতাকি রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সমাজ বিনির্মাণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছে বর্তমান সেই চেতনাকে হিমাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে সরকার। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামে জনগণের কাছে একমাত্র ভরসা বিএনপিই। তাই ক্ষমতাসীনরা এখন মিথ্যাচার করে ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ও জিয়া পরিবারের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনকে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় মোকাবেলা না করে শুরু করেছে ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তের বর্তমান সরকার। সে কারণেই জিয়াউর রহমানসহ বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার এক ব্যর্থ অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে সরকার। দেশে বিরাজমান রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার বিরোধী গুম-খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্যই তারা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির মাধ্যমে স্বঘোষিত আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীরা নির্লজ্জভাবে আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে। করোনা মোকাবেলায় চরম ব্যর্থতা, সীমাহীন নৈরাজ্য, দুর্নীতি, অরাজকতা, ও চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে দেশকে নিপতিত করে আজ দিশেহারা সরকার। এই সরকার রাজনৈতিকভাবে চরম দেউলিয়া হয়ে জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে একমাত্র রাষ্ট্রশক্তির ওপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকারের এখন আর কোন রাজনীতি নেই। তাই সরকারে টিকে থাকার জন্য তারা অপরাজনীতিতে নেমেছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির ভিডিও প্রচার উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যা মামলায় ফাঁসির এক আসামিকে (মাজেদ, মেজর অব.) দিয়ে বন্দি অবস্থায় দেশের আইন, আদালত, শাসনব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আওয়ামীলীগ সরকাররের মুসাবিদায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ধারণকৃত ভিডিও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারে বাধ্য করা এবং একই সাথে বেতনভুক্ত সাইবার ফোর্স নিয়োগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপ আইন বিরোধী আসলে অপরাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।