এস এ খালেকের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, দলের অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এস এ খালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার এক শোকবার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মরহুম এস এ খালেক একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। নিজ এলাকায় জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তার সুনাম ছিল। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল ছিলেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন সমাদৃত। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এস এ খালেকের মৃত্যু হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এসএ খালেক দীর্ঘদিন ধরে নানান রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত বুধবার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার রাতে তাকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এবং দুপুর ২টায় মিরপুর বাংলা কলেজ প্রাঙ্গণে এস এ খালেকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে গাবতলী মিরপুর শাহী মসজিদ পারিবারিক করব স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, আজ দুপুরে এস এ খালেককে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম।
একসময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিক এস এ খালেক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যাসহ নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার হার্টে ১৩টি রিং পরানো ছিল।
বিএনপির রাজনীতিতে এস এ খালেকের পথচলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। দলে যোগ দেওয়ার পর ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা-১৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর ৮৬ ও ৮৮ সালে পরপর দুবার সংসদ নির্বাচিত হন এস এ খালেক। পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
-যুগান্তর