Type to search

রাজনীতি

আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি নেতাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়: মির্জা ফখরুল

ওয়ান ইলেভেনের সরকারের বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে ক্ষমতাসীন সরকার। যা সুষ্ঠু রাজনীতির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি নেতাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে ওই সময়কার মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বিএনপির নেতাদের।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের মুক্তির দাবি জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জরুরি অবস্থার সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে সময় অন্যায়ভাবে তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়। মামলা চলাকালে তাদের আইনজীবীরা আইনগতভাবে মামলা মোকাবেলা করলেও কোনো বক্তব্য আমলে না নিয়ে সরকারি নীলনকশা অনুসারে একতরফা রায় ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে উচ্চ আদালতে আপিল করা হলেও ওয়ান ইলেভেন সরকারের ধারাবাহিকতায় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নাসির ও হেলালের আপিলে তীব্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জরুরি অবস্থার সরকার ওই সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দায়ের করলেও এই সরকার সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তি করে ফেলেছে। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো চলমান রেখে ফরমায়েশি রায় প্রদান করছে।’

পুরাতন ঢাকার মালিটোলায় ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করায় অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, ২০০৬ সালে ঢাকার তৎকালীন মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিদ্যালয়টি। ক্ষমতাসীন দলের সরকারের ইতিহাস বিকৃতি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির বশবর্তী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ওই বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে ওই বিদ্যালয়ের নাম পুণঃস্থাপনের জোর দাবি জানান তিনি।’

Translate »